Our Sherpur

শিশুদের খাবারে তুলশীমালা চাল ব্যবহার করা যাবে? মোঃ দেলোয়ার হোসেন

শিশু খাবারে তুলশীমালা চাল

মোঃ দেলোয়ার হোসেন: ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এ প্রবাদটি পরিচয় করিয়ে দেয় আমাদের খাদ্য তালিকার সাথে। দুধ, ডিম, চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, মশলা, শাকসবজি সহ আমাদের সিংহভাগ খাবার কৃষিপণ্য। মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুদের খাবারও এগুলোই। তুলশীমালা চালের সাথে যেহেতু অনেকে অপরিচিত, তাই শিশুর খাদ্য তালিকায় তুলশীমালা চাল নিয়ে দ্বিধান্ধে ভোগেন। উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর অনেক নারী মেম্বার তাদের শিশুদের তুলশীমালা চালের নানা রকম খাবার খাইয়েছে। এতে কোন প্রকার সমস্যা লক্ষ করা যায়নি। বরং এ চালের খাবার সুগন্ধি ও নরম হওয়ায় শিশুরা অন্য চালের চেয়ে আনন্দে খায়। ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে একজন ডাক্তার, ১ জন বেবি ফুড বিক্রেতা ও কয়েকজন মায়ের থেকে জানা যায়- ৬ মাস পর থেকে বাচ্চারা মায়ের দুধের পাশাপাশি শক্ত খাবার শুরু করে। নিচে কয়েকজন মায়ের মন্তব্য তোলে ধরা হলো- 

তুলশীমালার খিচুড়ি
শিশুর খাদ্য তালিকায় তুলশীমালা চাল

মাশিয়াত মাসুদ মুমু: ৬ মাসের পর থেকেই খাওয়ানো যাবে। ০-৬ মাস এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করতে হবে। এরপর থেকেই উইনিং পিরিয়ড শুরু। এই সময়ে আপনি বাচ্চাকে একটা একটা করে শক্ত খাবার নরম করে খাওয়াতে শুরু করতে পারবেন। খিচুড়ি সেই হিসেবে বেস্ট যেহেতু অনেক উপাদান একসাথে থাকে তাই পুষ্টিগুণ অনেক বেশি অন্য যেকোন খাবারের চেয়ে। আর সেই খিচুড়ির প্রধান উপাদান চাল যে টার জন্যে আপনি অনায়াসেই তুলশীমালা চাল ব্যবহার করতে পারেন। অরিজিনাল তুলশীমালা চাল হজমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো, এর স্বাদ ও অনেক বেশি, একটা আলাদা ঘ্রাণ এবং ফ্লেভার পাবেন, খেলে পেট ও ঠান্ডা থাকে। ইনশাআল্লাহ উপকার পাবেন।

ফাজানা আক্তার এলিজা: তুলশীমালা চাল সুগন্ধি যুক্ত এবং গ্যাস্ট্রিক হয়না। এটা বেবিদের ৬ মাস থেকেই দেয়া যাবে। যেসব বাচ্চা মাঝেমধ্যে কিছু থেকে কিছু হলেই পেট নরম হয়, তাদের স্টমাক স্ট্যাবল রাখতে হেল্প করে। এই চাল যেহেতু কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করেন এবং তা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে। কোনরকম প্রসেসিং করা নেই তাই নিশ্চিন্তে বাচ্চাদেরকে দেয়া যেতে পারে। আমি যেহেতু বেবিফুড নিয়ে কাজ করছি এটা ৬ মাস থেকে যেকোন বয়সী বেবিই খেতে পারবে। এই চাল রান্নার পর যেহেতু একটু আঠালো থাকে তাই এটা দিয়ে সুজি রান্না করলে বেশিক্ষন রাখা যাবে না, হাল্কা গরম থাকতেই খেয়ে নিতে হবে। না হলে পাতলা হয়ে যাবে।

সিরাজুম মুনিরা: ৬ মাস থেকে বাচ্চারা শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। তখন একদম সিম্পল সহজপাচ্য খাবার দিতে হয়৷ এর মাঝে তুলশীমালা আদর্শ হতে পারে। ৭/৮ মাস থেকেই দেয়া যাবে, রেগুলার খিচুড়ি, সাদা ভাত করে অথবা জাউ। এতে কোন সমস্যা হবার কথা না। মেহরিমা বয়স ১৭ মাস। তুলশীমালা চালের খাবার দিয়ে কোন সমস্যা দেখিনি এই এক মাসে।

তুলশীমালা 3

সিদরাত ফারজানা আঁখি: আমার মেয়েকে চাল হাতে পাওয়ার পর থেকে খাওয়াচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, কোন সমস্যা হচ্ছে না। মেয়ে খাচ্ছেও মজা করে।? মেয়ের বয়স ১৩মাস।

সাদিয়া নেওয়াজ সানি: ৬ মাস থেকে যেকোনো বয়সে দেওয়া যাবে। তুলশীমালা চালের সুজি, সেরেলাক হালুয়া করে খাওয়ানো যেতে পারে। পরে সাদা ভাত, খিচুড়ি, করে দেওয়া যাবে। তবে বাচ্চার পটি যদি শক্ত হয় তাহলে চালের/চালের গুরির সাথে পেপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ এর পিউরি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতে পাটি নরম থাকবে। এই চালের, স্বাদ আর সুগন্ধি তে বাচ্চারা খুব মজা করে খাবে।

ফারহানা কানন লাখী: ভাইয়া ছয় মাসের পর থেকে বাচ্চাদের এই চাল দেওয়া যাবে । তবে এই চাল এ পটি শক্ত হবার সম্ভাবনা থাকে । তাই রেগুলার পুরোটাই এই চাল না দিয়ে মিক্স দেয়া ভালো ।বাচ্চাদের পেটে সমস্যা হলে চিকেন ,কাচা কলা আর সুগন্ধি চাল রান্না করে খাওয়াতে বলে ডক্টর। আমার এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ জানা আছে।

Leave a Reply

Scroll to Top