যে পণ্য নিয়ে জানে সেই পণ্য ব্যবহার করে
’ভর্তা’ চিনেনা এমন পরিবার বাংলাদেশে খুজে পাওয়া দুষ্কর হবে। সিংহ ভাগ মানুষ বর্তা বানায় পাটায় পিষে। কিন্তু পাটা-পুতা ভারি হওয়ায় যেখানে সেখানে নেওয়া যায় না। তাই বাটনা (ভর্তা বানানোর পাত্র) হতে পারে সহজ সমাধান। উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামে নিগার ফাতেমা আপু বাটনা দিয়ে সকলের মাঝে পরিচিতি লাভ করেছে।
বাটনা মাটির তৈরি ভর্তা বানানোর পাত্র। এটি রংপুর অঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও নিগার ফাতেমা আপুর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে তা পৌছে গেছে। আমি নিজেও শেরপুর এনেছি। এখন ফেইসবুকে যেকেউ সার্চ করলেই নিগার আপুর পোস্ট গুলো চলে আসে। এভাবে নিজ নিজ জেলার সকল পণ্য নিয়ে আমরা লিখতে পারি নিজেদের ওয়েবসাইটে এবং ফেইসবুকে। বটনার নাম আমরা আগে কখনো শুনিনি। যখন বাটনার পোস্ট আমরা বোন দেখলো, তখনি তার প্রয়োজন হয়ে উঠলো। অর্থাৎ অজুহাত দাড়ালো পাটা-পুতা নাড়াছাড়া কষ্টের কাজ।
এভাবে যখন আমরা কোন পণ্য নিয়ে নিয়মিত লিখতে পারবো তখনি মানুষের প্রয়োজন বেড়ে যাবে। মানুষ যে পণ্য নিয়ে বেশি জানে, সে পণ্য টাই ব্যবহার করে। অর্থাৎ পণ্য সম্পর্কে যত বেশি ধারণা দেওয়া যাবে তত বেশি কাস্টমার তার প্রয়োজন উপলদ্ধি করবে। যেকোন পণ্য গুগল সার্চ এলাইলেবল করতে ওয়েবসাইটের বিকল্প নাই।
মনে করেন আপনি বসে বাটাবাটি করতে পারেন না, তখন আপনি চিন্তা বাটনা কিনলে তো টেবিলের উপর রেখে দাড়িয়ে দাড়িয়েও বর্তা তৈরি করা যাবে। তাহলে তো আমারও বাটনা দরকার?? আমার বোন চিন্তা করছে পাটা-পুতা নাড়াচাড়া করতে কষ্ট হয় তাই বটনা আমার জন্য প্রয়োজনীয়। পণ্য সম্পর্কে জানতে জানতে সবাই এভাবে নিজেদের প্রয়োজনের সাথে মিলাবে এবং ক্রয়ের জন্য আগ্রহী হবে।