তানজিনা আফরোজ নিশু: আজকে শেষ পর্যন্ত আমি আমার অতি আকাঙ্খিত তুলশীমালা চাল পেলাম এবং খেলাম। ঈদে অনেক কিছু কেনার ইচ্ছা ছিল উই থেকে, কিন্তু আমাদের বাসার সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের এবারের ঈদের খরচটা দান করা হবে তাই আর কিছুই কিনলাম না। তাই বলে খাওয়া তো আর বন্ধ থাকবে না। ৬ তারিখে আমি দেলোয়ার ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করলাম চাল নেবার জন্য। ভাইয়া বললেন পাঠিয়ে দিবেন কিন্তু কোরিয়ার অফিস থেকে উঠিয়ে নিতে হবে ।আমি তো আশে পাশে কোথায় অফিস তাই জানি না এবং এই সময় কোথায় যেয়ে খুঁজব তাই ভাইয়াকে বললাম হোম ডেলিভারির কোন ব্যাবস্থা নাই। তখন ভাইয়া বললেন তাহলে কয়টা দিন অপেক্ষা করেন ঢাকায় হোমডেলিভারি চালু হবে। আমি তো মহা খুশি। আমার অতি আকাঙ্খিত তুলশীমালা চাল আমার বাসায় চলে আসবে এবং উই এর পরিচিত মুখ দেলোয়ার ভাইয়া যার কথা রাজীব ভাই নিজে বলেন তাই আমার কোন টেনশনও নাই।
কিন্তু যে চালের নামও কোনদিন শুনি নাই, যে চাল দেখার এবং খাবার জন্য এত ব্যাকুল তার জন্য কি আর দেরি সহ্য হয়? তাই ভাইয়াকে ২ দিন আগে আবার নক দিলাম এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার ভাইয়া একটুও বিরক্ত হন নাই। আজকের কথা বলেছেন যে আজকে পেয়ে যাব, এবং আজকেই আমার চাল পেয়ে গেলাম। আমার কি আর সহ্য হয় তাই আজকেই ইফতারিতে করলাম তুলশীমালার ভাইয়া।
এখন আসি স্বাদের ব্যাপারে যদিও চালটা চিনিগুড়া চালের মত দেখতে কিন্তু স্বাদটা ভিন্ন। চিনিগুড়ার চেয়ে তুলশীমালা একটু বড় এবং সহজে গলে যায় না, তাই আমরা যারা হোমমেড খাবার বিক্রি করি তাদের জন্য চালটা অনেক নিরাপদ হবে বেশি টেনশন নিয়ে রান্না করতে হবে না (এটা আমার মনে হয়েছে)।
পরিশেষে ধন্যবাদ দেলোয়ার ভাই এবং বিশেষ ধন্যবাদ রাজীব ভাইকে আমাদেরকে নতুন একটা চালের সাথে পরিচিত করানোর জন্য।