মেহের নিগার : উই গ্রুপে জয়েন করার পর থেকে এতবেশি তুলশীমালা চালের কথা শুনেছি, মানে পোস্ট পড়েছি, মনে হইল জীবনে অন্তত একবার এই চালের ভাত খেতে না পারলে জীবন বৃথা। অতঃপর কুরিয়ারযোগে তার চট্টগ্রামে আগমন। কুরিয়ারের বিভিন্ন ঝামেলা শেষ করে বাসায় আনার পর বেশ কিছু দিন প্যাকেটেই ছিল। কারন ভাবছিলাম ভাতটা আমি নিজেই রান্না করব (আমি কিন্তু রাইস কুকারে ভাত রান্না পার্টি), চুলায়। অবশেষে রান্না করলাম, রান্না করতে গিয়ে পুরাই বেড়াছেড়া। দুই তিন বার রান্না করার পর মোটামুটি আয়ত্বে এসেছে। ভাতটা একটু স্টিকি-আঠালো। আর খুব সাবধানে রান্না করতে হয়, না হলে কিন্তু নরম হয়ে যাবে। তবে ভাত যদি নরম হয়েও যায়, কেমন জানি গপ গপ করে খেয়ে ফেলা যায় আর রান্নার সময় সারাঘরে ছড়িয়ে পড়া সুন্দর গন্ধটার কথা ত না বললেই নয়।
অনেক সময় বাড়তি ভাত রয়ে যায়, যা আমরা ফ্রিজে রেখে দেই, যা অভেন করে খাওয়া যায়। কিন্তু এই চালের ভাত ফ্রিজে রাখলে কিন্তু কেমন শক্ত হয়ে যায়। কাজেই একটু প্রয়োজন অনুপাতে রাঁধতে পারলে ভাল। আমি রেগুলার সাদাভাত হিসাবে খাচ্ছি। আবার নেয়ার ইচ্ছা আছে। যদি হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা যায় তাহলে খুব ভাল হত।
(তাড়াহুড়ো করে তোলা, ছেলে ভাতের জন্য তখন চেঁচাচ্ছে)
