আরজুমান আরা : গতমাসেই নকশি মিটিং এ দেলোয়ার ভাইকে ৫ কেজি তুলশীমালার অর্ডার করি। আমি যেদিন বগুড়ার উদ্দেশ্যে বাসে ভাইয়া তখন ফোন দিয়ে জানান আজ ডেলিভারি দেবেন। ভাইকে বল্লাম বাসায় লোক আছে দিয়ে যান। সেদিন অন্য কেউ ডেলিভারি দিয়ে যায়। যাক দেলোয়ার ভাই আসছেনা। ভাই আসলে সত্যি খারাপ লাগতো। আমি নাই। কেমন হতো ব্যাপার টা। যাইহোক। ঢাকা এসে রান্না করে খেয়ে বুঝলাম স্যার কেন এতো তুলশীমালার প্রশংসা করেন। আর শান বাবাই কেন এতো মজা করে খায়??। আমাদের বাসায় পোলাও এর চাল তো কিনতেই হয় তখনি ভাবি আবার দেলোয়ার ভাইয়ের তুলশীমালা কই নেবো ইন শা আল্লাহ। চাল শেষ হওয়ার আগেই সেদিন ভাইকে আবার ৫ কেজির অর্ডার করি। যেন বাহির থেকে আমাকে চাল কিনতে না হয়৷
আজ ভাইয়া দুপুরের আগে কল দিয়ে জানালেন উনি নিজেই আজ আসবেন। তখন আমার রান্না প্রায় হয়েই গেছে। সিম্পল বাংলা মাছ ভাত। আগে জানলে নিজ হাতে তুলশীমালার বিরিয়ানি খাওয়াতাম। স্যার সবসময় বলেন কাস্টমার খাতির করতে। আমি কি কাস্টমার খাতির করলাম? নাকি সেলার খাতির করলাম?
আসলে দুইটার কোন্টাই করিনি। আমি আমার ভাইকে খাতির করেছি আলহামদুলিল্লাহ ?। উইয়ের একজন ভাই। ভাই কিছুতেই খাবেন না। বেশিক্ষণ বসবেন না। কিন্তু বড় বোন নাছোড়বান্দা। মসজিদ থেকে নামায পড়ে এসে যা আছে খেয়ে যেতেই হবে। আহা বেচারা ভাই আমার। কিছু না বলে মাসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে এসে বড় বোনের সংগে গল্প করতে করতে খেলেন।।??
আসলে এমন একটা পারিবারিক সম্পর্ক শুধু উই বলেই সম্ভব হয়েছে।স্যার সবসময় সবাইকে এক হয়ে চলতে বলেন। একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে বলেন। আমি কোন ভনিতা করে কথা বলতে পারিনা। আমাদের মধ্যে সত্যি অনেক অনেক আন্তরিকতা আছে। তৈরি হয়েছে। সবাই অনেক অনেক আন্তরিক একে অপরের প্রতি আলহামদুলিল্লাহ। ধন্যবাদ স্যার আমাদের এমন একটা পরিবার উপহার দেয়ার জন্য। ইন শা আল্লাহ আমরা এক হয়ে আন্তরিকতার সংগে একপথে চলবো।
এক মতে এক পথে
উই চলে এক সাথে