সিরাজুম মুনিরা : মেয়েকে খাওয়ানো আমার কাছে সব চেয়ে কঠিনতম কাজ। কারন স্বাদ গন্ধ বাচ্চাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব কিছু খেলেও তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে মায়েদের সারাক্ষণ একটা টেনশান কাজ করে।
যেদিন তুলশীমালা চাল আনলাম আম্মুর বাসায় ছিলাম, তাকে চাল না দিয়ে, আমি নিয়ে আসছিলাম মেহরিমার জন্য। সব সময় ভাতের চাল অথবা মাঝে মাঝে স্বাদ পরিবর্তন করতে পোলাও এর চাল দিয়ে খিচুড়ি করতাম। পোলাও চালে মেয়ের হজমে সমস্যা হয় বলে বেশি দেইনা আর তুলশীমালা চাল নিয়েও আমি চিন্তায় ছিলাম ঠিক ভাবে হজম হবে কিনা! কিন্তু গত কয়েকদিনে আলহামদুলিল্লাহ সে তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে যতটুকুই খেয়েছে। আমার চিন্তা মেয়ে অনেক খাবে না কিন্তু অল্প খেয়ে সুস্থ থাকবে।
সেরেলাক সুজি এক সময় দিতাম কিন্তু আস্তে আস্তে তা কমিয়ে দিয়েছি৷ কেননা তাতে যতই লিখুক অনেক পুস্টি উপাদান আছে তাতে আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তেমন তৈরি হয়না৷ মিহি যখন অনেক অসুস্থ থাকত ডাক্তার তানজীলা অমি আপু আমাকে কড়া ভাবে বলেছিল একদম কোন দিকে না তাকিয়ে মেয়েকে সময় দিতে। তার খাবার দাবার নিয়ে সিরিয়াস হতে। আপুর সেই কথা থেকে আমি চেস্টা করছি এদিকে ঠিক মত সব কিছু রাখতে খাবারে। আলহামদুলিল্লাহ মেয়ের আগের মত বার বার অসুস্থ হবার প্রবনতা ইকটু হলেও কমেছে। তাই মেয়ের খাবার দাবার নিয়ে আমি সব সময় চিন্তায় থাকি। এদিকে আমাকে অনেকটা চিন্তা মুক্ত করেছেন দেলোয়ার ভাইয়া। প্রতিদিন পোলাও চাল দিতে না পারলেও তুলশীমালা চাল দিয়ে তাকে খাওয়াতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই। অল্প করে রান্না করি তবুও অল্প থেকে গেলে আমিও খেয়ে নেই ?? মেয়ের হজমে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি এই পর্যন্ত।
সূত্র : ফেসবুক।