মোস্তাফিজুল হক ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে তাঁর পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলা শহরের শেখহাটি খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম খন্দকার মোস্তাফিজুল হক। তিনি কবি ও শিক্ষক খন্দকার মউলুদুল হক এবং জাহানারা বেগমের চতুর্থ পুত্র।
Table of Contents
লেখালেখি
মোস্তাফিজুল হক কৈশোর থেকেই নিয়মিত পাঠাগারে যাতায়াত করতেন। তখনই তাঁর ভেতরের লেখকসত্তা জেগে ওঠে। তিনি সবসময় নিরাপদ বাসভূমি আর সুন্দর দেশ ও কোমল পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। শিশু-কিশোরের স্বভাবে ও বৈচিত্র্যে মানবিক আচরণে দেশীয় সংস্কৃতির লালন তাঁর কাছে ভালো লাগে। তাই তাঁর লেখায় শিশু-কিশোর, মাতৃভূমি আর বঞ্চিত মানুষের আবেগ অনুভূতিই উঠে আসে। তিনি এটাও মনে করেন যে, বর্তমানের সচেতন কিশোর কিশোরীই সুন্দর আগামীর নিয়ামক।
ছড়াকার ও কবি মোস্তাফিজুল হকের অসংখ্য ছড়া কবিতা দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশের পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। তিনি কবিতা, গীতিকবিতা এবং শিশুতোষ গল্পেও সাবলীল। বাংলা একাডেমি, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ পর্যন্ত তাঁর তিনটা কিশোর ছড়ার বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত ছড়ার সংখ্যা প্রায় দেড়সহস্রাধিক।
প্রকাশিত বই সমূহ
বইয়ের নাম | প্রথম প্রকাশ | |
১ | ইচ্ছে ডানার পাখি | ২০১৭ |
২ | মধুমতির তীরে | ২০১৮ |
৩ | পরির মেয়ে | ২০১৮ |
৪ | বাংলা ছড়া ও রাইমস | ২০১৯ |
৫ | বিদেশি মজার গল্প | ২০১৯ |
৬ | তিন রসিকের হাসির মেলা | ২০১৯ |
৭ | জ্ঞানের আলো | ২০১৯ |
৮ | ছয় দেশের ছয় রূপকথা | ২০২১ |
৯ | মেঘ নিয়ে যা শঙ্খচিল | ২০২১ |
সাংগঠনিক কার্যক্রম
শেরপুরে চারুধ্বনি ছড়া পরিষদ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোক্তা ও সাধারণ সম্পাদক। সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্ম ও সংসার
তিনি পেশায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক। ব্যক্তিগত জীবনে এককন্যা ও একপুত্র সন্তানের জনক। তাঁর বই প্রকাশের মূলপ্রেরণা স্ত্রী রেহানা বেগম। তিনি তাঁর অর্জন তাঁর বাবার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেন।
তথ্যসূত্র: লেখক কর্তৃক সংগৃহীত।