Our Sherpur

টঙ্ক আন্দোলন | হারুনুর রশীদ

টঙ্ক আন্দোলন

টঙ্ক আন্দোলন নিয়ে বিস্তারিতঃ

বঙ্গরাজ্যের অন্যতম অঙ্গরাজ্য হজরত জরিপ শাহ (রহ.)-র প্রতিষ্ঠিত গড়জরিপা। মুঘল সম্রাট মহামতি আকবরের শাসনামলে গড়জরিপার নতুন নামকরণ হয় দশকাহনিয়া বাজুহা। এই দশকাহনিয়া বাজুহার শত বছর ধরে জায়গিরদার বা অধিপতি ছিলো “গাজী বংশ”। এই বংশের শেষ অধিপতি বা জায়গিরদার শের আলী গাজী। তিনি ২১ বছর মতান্তরে ২৪ বছর সফলতার সাথে জায়গিরদারী করেন।

দশকাহনিয়া নাম পরিবর্তন করে নিজের নামানুসারে এর নামকরণ করেন শেরপুর এবং স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করেন। ফলস্বরূপ বিশাল মুঘল সম্রাজ্যের কাছে কার্যত নতি স্বীকার করতে হয়। তৎকালীন মুঘল সুবাদার মুর্শিদকুলি খান সুকৌশলে প্রশাসনিক কাঠামো “রাজ্য” ও “বাজুহা” প্রথা পরিবর্তন করে “চাকলা” ও “পরগনা” প্রথা চালু করেন। চাকলার অধিপতিগণ “চাকলাদার” এবং পরগণার অধিপতিগণ “পীর” ও “জমিদার” বলে অভিহিত হন।

“দশকাহনিয়া” বাজুহা হলো “শেরপুর” পরগনা এবং প্রথম জমিদার হলেন নাবালক রামনাথ নন্দী। নাবালক বলেই জমিদারী দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত তার মা “পদ্মাবতী”। জমিদার রামনাথ নন্দী নাবালক, কিশোর। তার মা পদ্মাবতী গৃহিণী। যার ফলে কার্যত জমিদারি দেখাশোনাসহ যাবতীয় কার্যকলাপে প্রাধান্য ছিলো পদ্মাবতীর পরামর্শদাতা “বাণী বল্লভ”-এর।

একজনের জমিদারী, অন্যদের প্রাধান্য। ফলে একদিকে খরচ বৃদ্ধি, খাজনা বৃদ্ধি, পক্ষান্তরে জনসেবায় ঘাটতি। জমিদার রামনাথ নন্দীর মৃত্যুর পর জমিদারী অংশের ভাগাভাগি। অর্থাৎ একক স্বত্বায় বহু জমিদার। ক্রমান্বয়ে খরচাপাতি ও জনভোগান্তি বাড়তে থাকে ব্যাপকভাবে।

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের অধীনস্ত হয় বাংলা। তখন থেকেই শাসনব্যবস্থা চলে ময়মনসিংহ জেলাকেন্দ্রীক। জনসাধারণের পরিচয় ছিলো “রায়ত”। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে জনসাধারণের পরিচয় হয় “প্রজা”। রায়ত ও প্রজা-র মধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে। যেমন, রায়তগণ বংশানুক্রমে স্থাবর সম্পত্তি ভোগ-দখল, ক্রয়-বিক্রয় ও হাতবদল করতে পারে।

জমিদার সচরাচর হস্তগত করতে পারে না। কিন্তু প্রজাগণ জমিদারের ইচ্ছেমতো জমিজমা শুধুমাত্র ভোগ করতে পারে। ক্রয় বিক্রয়, দখল ও হাতবদলের কোনো অধিকার নেই। জমিদার ইচ্ছে করলেই যখন তখন স্থাবর সম্পত্তি জমিজমা হস্তগত করতে এবং যে কাউকে বন্দোবস্ত দিতে পারে। শোষণ ও জনদুর্ভোগ বাড়তে থাকে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে গণ অসন্তোষ। যা কালে কালে বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে ওঠে।

বাংলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছে কৃষক সমাজ। ফলে সবচেয়ে তীব্র ও অংশগ্রহণমূলক আন্দোলন হয়েছে বাংলার কৃষক শ্রমিক-জনতার। এসব আন্দোলন বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ইস্যুতে, বিভিন্ন নামে বাঁক নিয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে পাস হয় বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন। এই বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জনগণ পূর্ণ “রায়তী” অধিকার না পেলেও বেশ কিছু অধিকার লাভ করে। অপরপক্ষে কুটিল জমিদারগণ প্রজাস্বত্ব আইনের ফাঁকফোকরে বেশ কিছু প্রথা চালু করে। এসব প্রথার মাধ্যমে অধিকতর শোষণ ও নির্যাতন চালাতে থাকে।

বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে শ্রেণিভেদে অনেকেই জমিজমা ভোগদখল ও হস্তান্তরের অধিকারী হয় বটে। সিংহভাগ জনগণ জমিজমা ভোগদখল ও হস্তান্তরের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে। মূলত জমিজমার ভোগদখলের অধিকার থেকে বঞ্চিত প্রজাগণ এসব প্রথার মাধ্যমে অধিকতর শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়। প্রজা নীপিড়ণের এসব প্রথার একটি “টঙ্ক প্রথা”।

টঙ্ক প্রথা কী: সেই আমলে বিনিময়মূদ্রার নাম ছিলো “টঙ্ক”। এই “টঙ্ক” শব্দ থেকে বর্তমান বিনিময়মূদ্রা “টাকা” শব্দের উদ্ভব।

১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী বহু কৃষক স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী হয় বটে। সিংহভাগ জনসাধারণ জমিজমার মালিক বা অধিকারী থেকে বঞ্চিতই থাকে। কৃষকেরা কার্যত নিঃস্ব। পরিবার পরিজন নিয়ে দু’মুঠো খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে। তারা ফসল উৎপাদন, মৎস্য শিকার ও অন্যান্য আয় রোজগার করতে জমিদারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এই সুযোগে জমিদাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি প্রজাদেরকে উচ্চ হারে আর্থিক চুক্তি ভিত্তিক দেয়। চুক্তি অনুযায়ী হাল, বলদ, বীজ, সার, ঔষধ, জল সেচ বা কোনো ধরনের দায়িত্ব জমিদারের নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রজা চুক্তি অনুযায়ী “টঙ্ক” দিতে বাধ্য।

ফসল তোলার সাথে সাথেই জমিদারের পেয়াদা এসে চুক্তির অর্থ বা টঙ্ক নিতে আসে। নগদ অর্থ বা টঙ্ক না পেলে ইচ্ছেমত মূল্য নির্ধারণ করে সেই টঙ্ক পরিমাণ উৎপাদিত ফসল নিয়ে যায়। সেই সাথে পরবর্তী বছরের জন্য অধিকতর উচ্চ হার নির্ধারণ করে দেয় অথবা সংশ্লিষ্ট জমি অন্য চাষাদের দিয়ে দেয়।

বন্যা, খরা, পোকা বা বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিংবা ফসল উৎপাদন করতে না পারলেও চুক্তি অনুযায়ী টঙ্ক দিতে বাধ্য করা হয়। কোনো টঙ্ক চাষী মারা গেলে তার বংশধররা ওই টঙ্ক ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট জমির মালিকানা বা স্বত্ব নেই। টঙ্ক প্রথায় রাজস্ব হার একর প্রতি ৪০/- থেকে ৭০/- টঙ্ক পর্যন্ত উন্নীত হয়। অথচ ভূমি অধিকার প্রাপ্তদের একর প্রতি জমির খাজনা সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) টঙ্ক বা টাকা। সুসঙ্গ (বর্তমান নেত্রকোনা) কলমাকান্দার লেঙ্গুরা মৌজার প্রথম দিকে (১৮৮৫-৮৬ খ্রিস্টাব্দে) ধার্যকৃত রাজস্ব ছিলো ৬৩/- টঙ্ক। যা ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে হয় ৫০০০/- টঙ্ক বা টাকা! টঙ্ক চাষীদের উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক বা অধিকাংশই দিতে হয়।

উল্লেখ্য, ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক গঠন করেন কৃষক প্রজা সমিতি। এই কৃষক প্রজা সমিতি জনমনে আন্দোলনের ঢেউ তুলতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে এই কৃষক প্রজা সমিতিকে কৃষক প্রজা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দেই “নিখিল ভারত কৃষক সভা” আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। এটি সংক্ষেপে কৃষক সভা নামে পরিচিত ছিলো। কৃষক প্রজা পার্টি এবং কৃষক সভা-র তৎপরতায় ভারতবর্ষে বিভিন্ন আন্দোলন গতি ও সফলতা পায়।

টঙ্ক আন্দোলন

এই টঙ্ক প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তাইই “টঙ্ক আন্দোলন” নামে খ্যাত। সুসঙ্গ (বর্তমান নেত্রকোনা) দুর্গাপুরের মুসলিম প্রধান “দশাল” গ্রাম এবং কলমাকান্দার “লেঙ্গুরা” মৌজা কেন্দ্র করে “টঙ্ক আন্দোলন” গড়ে ওঠে।

বিক্ষিপ্তভাবে ছোট ছোট প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বরে কমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে টঙ্ক প্রথা বাতিল সহ ছয় দফা দাবি করা হয়। কার্যত এই বৈঠক থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে টঙ্ক আন্দোলন ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। ক্রমান্বয়ে সুসঙ্গ ও শেরপুর পরগনাসহ সমগ্র ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে টঙ্ক আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় মিস্টার ব্যাস্টিনকে ময়মনসিংহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট করে পাঠানো হয়। মিস্টার ব্যাস্টিন অত্যন্ত নির্মম ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

৩১শে জানুয়ারি ১৯৪৭ দুর্গাপুরের “বহেরাতলী” গ্রামে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালায়। দুজন হাজং নারীর ইজ্জত নষ্ট করে। কৃষকবধূ ও নেত্রী কুমুদিনী হাজং-কে আটক করে নিয়ে যাবার সময় আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে। ৩ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। পুলিশের গুলিতে রাশমণি হাজংসুরেন্দ্র হাজং নিহত এবং অনেকেই আহত হয়। পক্ষান্তরে আন্দোলনকারীদের বল্লমের আঘাতে দুইজন পুলিশ নিহত ও ৮-১০ জন আহত হয়।

এদিকে শেরপুর পরগনাতেও ব্যাপকভাবে অত্যাচার করতে থাকে জমিদার ও তাদের দোসর ইংরেজরা। নালিতাবাড়ি বন্দর কৃষক সমিতির অফিসে আগুন দেয় ইংরেজ ব্যাস্টিন বাহিনী। নিজপাড়া জলধর পাল ও জিতেন মৈত্রের বাড়িতে লুটপাট করে। সালধা তালুকদার বাড়িতে ক্যাম্প স্থাপন করে। সালধা, কালিনগর, কান্ কান্দুলী, ভটপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে আক্রমণ ও নির্যাতন করতে থাকে।

পাইকুরা বাজারে কালু ডাক্তারের ডিসপেনসারি ভেঙ্গে দেয়। ঝিনাইগাতী, কাংসা, ধানশাইল, ডেফলাইসহ বিভিন্ন গ্রামে “ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস” বাহিনী লুটতরাজ করে। ব্যাস্টিন বাহিনী প্রায় ৩০০ গ্রামে আক্রমণ, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কৃষকদের গরু মহিষ, নগদ টাকা, গহনা, থালা বাসন লুটপাট করে ও নারীদের ইজ্জত নষ্ট করে। টঙ্ক ও তে-ভাগা আন্দোলনের ইশতেহার ছাপা হয় সন্দেহে নেত্রকোনা শহরের একটি ছাপাখানা তছনছ ও সিলগালা করে।

আন্দোলন তীব্রতর হতে থাকে। শ্লোগান ওঠে—
জান দিব, তবু ধান দিব না।

লাঙ্গল যার, জমি তার।

জাল যার, জলা তার।

টঙ্ক প্রথার উচ্ছেদ চাই।

জমিদারী প্রথার উচ্ছেদ চাই।

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে কৃষকেরা টঙ্ক দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ৮ ই জানুয়ারি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ। কলমাকান্দার চৈতন্য নগর নীলচাঁদ হাজং-এর ২০ মণ টঙ্ক ধান নিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। সেই ধান কেড়ে নীলচাঁদের গোলায় তুলে দেয়।

১৫ই জানুয়ারি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ। কলমাকান্দার “বটতলায়” ২৫ মণ টঙ্ক ধান আটক করে কৃষকেরা। পরদিন কলমাকান্দা থানার দারোগা ৬ জন সশস্ত্র পুলিশ, কয়েকজন চৌকিদার ও আনসার মিলে ৫ জন চাষীকে গ্রেফতার করে। নির্মম প্রহার ও নির্যাতনের ফলে তারা ওই ধানের সন্ধান দিতে বাধ্য হয়। দারোগা তখন ওই ২৫ মণ ধান দুইটি গরু গাড়িতে নিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসীরা পথ রোধ করে। হাতাহাতি, মারামারির এক পর্যায়ে গুলি চালায়। দুই জন গুলিবিদ্ধ সহ অনেকেঈ আহত হয়। কৃষকেরা শ্লোগান দিতে থাকে, “জান দিব তবু ধান দিব না”। অবশেষে দারোগা ধানের গাড়ি রেখে খালি গরু নিয়ে চলে যায়।

২৬শে ফেব্রুয়ারি জমিদারদের “চৈতন্যনগর” কাচারি দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা। সংরক্ষিত কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। বিপ্লবী মঙ্গল সরকার-র নেতৃত্বে বিশাল মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ১৯ জন আন্দোলনকারী নিহত হয়। অনেকেই আটক হয়। উল্লেখ্য, আটকদের মধ্যে অশ্বমণি হাজং” ও “ভদ্রমণি হাজং” ১২ বছর করে কারাদণ্ড হয়।

২৮শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে “ভালুকাপাড়া” গির্জার সামনে দুইজন বন্দুকধারী সিপাহীকে হত্যা করে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন ও মারমুখী অবস্থা তীব্রতর হয়ে ওঠে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ১৬ই মে জেলিমেন্ট বোমা তৈরির সময় মারাত্মকভাবে আহত হয় নালিতাবাড়ির সন্তান শচী রায় , লক্ষীকুড়ার সন্তান “পূর্ণ হাজং” ও “পরেশ হাজং”। রাতে শচী রায় মারা যায়। পাশাপাশি অন্যান্য আন্দোলন চলতে থাকে।

এই তীব্র আন্দোলনের ফলে বহু টঙ্কচাষী জমিতে রায়তিস্বত্ত বা মালিকানা পায়। অনেকের টঙ্ক হার কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু টঙ্ক প্রথা বাতিল করা হয় না। আন্দোলন আরও জোরদার হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমীন সুসং দুর্গাপুর পরিদর্শন করেন। বাস্তবতা উপলব্ধি করে পূর্ববঙ্গ জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ প্রণয়ন করেন। আইনটি পাস হয় ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে। এই আইনের মাধ্যমে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হয়। সেই সাথে টঙ্ক প্রথাও বিলুপ্ত হয়।


তথ্যসূত্র:

  • ময়মনসিংহের বিবরণ — শ্রী কেদারনাথ মজুমদার।
  • ময়মনসিংহের বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ জমিদার ( প্রথম খণ্ড) — শ্রীশৌরীন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
  • সেরপুর বিবরণ — শ্রী হরচন্দ্র চৌধুরি।
  • বাংলাদেশ ইতিহাস পরিক্রমা — কে এম রাইছ উদ্দিন খান।
  • শেরপুর জেলার অতীত ও বর্তমান — পণ্ডিত ফছিহুর রহমান।
  • শেরপুরের ইতিকথা — অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।
  • ইতিহাস ঐতিহ্যে গড়জরিপা — প্রকৌশলী এম আহসান আলী ও মো. আকরাম আলী।
  • ভারতের কৃষক সমস্যা — মুজাফফার আহমদ।
  • যে সংগ্রামের শেষ নেই — প্রমথ গুপ্ত।
  • মোমেনশাহী উপাখ্যান — অমর মিত্র।
  • মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর — আবদুর রহমান তালুকদার।
  • শহীদ কমরেড শচী রায় (প্রবন্ধ) — জ্যোতি পোদ্দার।
  • ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস — হাসান আলী চৌধুরী।
  • আসাম ও কামরূপে মুসলমানদের হাজার বছর — সরদার আবদুর রহমান।
  • বাংলা ও বাঙালীর বিবর্তন — ড. অতুল সুর।
  • বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শেরপুর — প্রধান সম্পাদক শামসুজ্জামান খান।
  • শ্যামল বাংলা ২৬/০২/২০২২ আব্দুস সামাদ ফারুক।
  • বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
  • বাংলাপিডিয়া।
  • উইকিপিডিয়া, শেরপুর জেলা।

Leave a Reply

Scroll to Top