অ-মৃতা অর্থাৎ মৃতা নয় এমন। জি নিচু ভূমি, দো-আঁশ মাটি আর নির্মল আবহাওয়ার অমৃত সুধা লাভ করা যায়। একটি মৌজা ও একটি গ্রামের নাম অমৃতা। শেরপুর জেলার, শ্রীবরদী উপজেলাধীন গড়জরিপা ইউনিয়নের একটি গ্রাম।
একটি গ্রামের নাম অমৃতা
নামকরণ : এই গ্রামের নামকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মুরুব্বিদের কাছে যতদূর জানা যায় পাহাড়, জঙ্গল, নদী, ঝরনা ও সমতলভূমির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই শেরপুর।
শেরপুরের পূর্ব নাম গড়জরিপা। এই গড়জরিপা নামক অঙ্গরাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে। নামকরণ করা হয়েছে সুফি জরিপ শাহ (রহ.)-র নামানুসারে। রাজধানী ছিলো গড়জরিপা দুর্গ। এই গড়জরিপা দুর্গের দক্ষিণ সীমানা ঘেঁষে অমৃতা গ্রাম।। এই এলাকাটিতে জনবসতি ছিল না বললেই চলে। এমনকি এখন পর্যন্ত এই গ্রামের লোকসংখ্যা অনেকটাই কম। প্রচুর আবাদি জমি। আগের দিনে এখানে প্রচুর অমৃত লতা পাওয়া গেছে। সেই অমৃত লতা গুল্মের আধিক্যের কারণে এলাকার নামকরণ করা হয় অমৃতা।

আগেই বলা হয়েছে, এই গ্রামের লোকসংখ্যা অনেকটাই কম। যার ফলে এই গ্রামের জমিজমার মালিক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অন্য গ্রামের বাসিন্দা। ধান, পাট উৎপাদনে তুলনাহীন বলা চলে। পাশাপাশি শাক-সবজিসহ প্রায় সব ধরনের ফসল ফলে। বর্ষা ও শরৎ কালে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ ভালো। বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। অমৃতা হাফেজিয়া মাদ্রাসা বেশ পুরাতন ও বিখ্যাত।

এছাড়াও একটি জুম্মা মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এককালে আমন ধান কাটার পরে অমৃতা মাঠে নিয়মিত “ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা” চলতো। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিলেন পার্শ্ববর্তী ইন্দিলপুর গ্রামের আব্দুল খালেক কবিরাজ। এছাড়াও নাটক, হাডুডু খেলা সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের লোকজন মাটির মতো সহজ সরল, কঠোর পরিশ্রমী ও দেশপ্রেমিক।
