শেরপুর প্রাচীন জনপদ কামরূপবঙ্গের অধীনে ছিলো। শেরপুরের পূর্বনাম ছিল দশকাহানিয়া। ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিয়ে শেরপুরে আসতে দশ কাহন কড়ি পরিশোধ করতে হত তাই নাম হয় “দশকাহানিয়া। ভাওয়ালের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নাম অনুসারে দশকাহানিয়ার নামকরণ করা হয় “শেরপুর”। শেরপুর ছিল জামালপুরের মহকুমা। অবশেষে ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ৫ টি উপজেলা নিয়ে শেরপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
শেরপুর সদর উপজেলার প্রশাসনিক এলাকা
শেরপুর সদর উপজেলা একটি পৌরসভা এবং পনেরটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
পৌরসভাঃ শেরপুর পৌরসভা
ইউনিয়নঃ
১. কামারিয়া
২. কামারের চর
৩. গাজির খামার
৪. চরপক্ষীমারী
৫. চরমোচারিয়া
৬. চরশেরপুর
৭. ধলা
৮. পাকুরিয়া
৯. বলায়ের চর
১০. বাজিতখিলা
১১. বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি
১২. ভাতশালা
১৩. ভীমগঞ্জ
১৪. রৌহা
১৫. লছমনপুর
- মৌজাঃ ১০৫ টি।
- গ্রামের সংখ্যাঃ ২৯৩ টি।
- জনসংখ্যাঃ ৪,৯৬,৬১৯ জন।
- জনসংখ্যার ঘনত্বঃ ১২৪৯ জন প্রতিবর্গকিলোমিটারে।
- স্টেডিয়ামঃ ১ টি।
- গণগ্রন্থাগারঃ ১ টি।
- মসজিদঃ ৫৬০ টি।
- মন্দিরঃ ২৪ টি।
- গির্জাঃ ২ টি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১১৯ টি।
- ইবতেদায়ী মাদ্রাসাঃ ৩৩ টি।
- উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ৫০ টি।
- দাখিল মাদ্রাসাঃ ২৩ টি।
- আলিম মাদ্রাসাঃ ২ টি।
- কামিল মাদ্রাসাঃ ১ টি।
- সরকারি কলেজঃ ২ টি।
১. শেরপুর সরকারি কলেজ (১৯৬৪) এবং
২. শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৭২)
- বেসরকারি কলেজঃ ৪ টি।
- সরকারি পলিটেকনিকাল ইনস্টিটিউটঃ ১টি।
- কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটঃ ১টি।
হাসপাতাল ক্লিনিক
- সদর হাসপাতালঃ ১ টি।
- মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্রঃ ১ টি।
- ইউনিয়নস্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণকেন্দ্রঃ ১৩ টি।
- ডায়াবেটিক সেন্টারঃ ১ টি।
- কমিউনিটি ক্লিনিকঃ ৩৫ টি।
- জেলখানাঃ ১ টি।
- প্রেসক্লাবঃ ১ টি।
- পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিঃ ১ টি।
কৃতী ব্যক্তিত্ব —
- শের আলী গাজী
- আফসার আলী
- আতিউর রহমান আতিক এম.পি
- কবি ও কলামিস্ট তালাত মাহমুদ
- নিগার সুলতানা (ক্রিকেটার)
শেরপুর সদর উপজেলার দর্শনীয় স্থান
- মাইসাহেবা মসজিদ
- অর্কিড পর্যটন কেন্দ্র
- তিনআনী জমিদার বাড়ি
- নয়আনী জমিদার বাড়ি
- নয়আনি জমিদার বাড়ির নাট মন্দির
- পনে তিন আনি জমিদারবাড়ি রঙমহল
- রঘুনাথ জিউর মন্দির
- শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক।
- শুকুরের দালান
- শেরপুর জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
তথ্য সূত্র-
সরকারি ওয়েবসাইট
উইকিপিডিয়া
বাংলাপিডিয়া