Our Sherpur

তেনাচিরা ব্রীজ ভাঙ্গা

যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যে কোন যুদ্ধের জন্য। তাই শত্রু যেন যাতায়াতের জন্য দূর্বল হয়ে পড়ে তাই সড়কের ব্রীজ গুলো ভেঙ্গে দেওয়া হতো, ঠিক তেমনি ভেঙ্গে দেওয়া হয় “তেনাচিরা ব্রীজ”। এ ব্রীজে অনেক নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকবাহিনী। সর্বদা ব্রীজ পাহারায় রাজাকার, আলবদর থাকতো। ব্রীজটি ছিলো শেরপুর থেকে শ্রীবর্দী যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্রীজটি ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। পরে ইপিআর সদস্য খালেক শিকদারের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি টিম গঠন করা হয় ব্রীজ টি ভাঙ্গার জন্য। বৃষ্টির দিন টিম রওয়ানা দেন ব্রীজ ভাঙ্গার জন্য। মুক্তিবাহিনী ব্রীজের কাছে পৌঁছলে পাহারারত অবস্থায় থাকা স্থানীয় রাজাকারগণ টের পেয়ে ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার” ধ্বনিতে দৌড় দেয়। অপরদিকে যুদ্ধাগণ পি. কে. ওয়ান বারুদ ব্রীজের উপর স্থাপন করে এবং মাটি চাপা দিয়ে সেফটি ফিউজে আগুন জ্বালিয়ে সবাই দূরে চলে যায় নিরাপদ অবস্থানে। ২-৩ মিনিটের মধ্যে বিকট আওয়াজের মাধমে ব্রীজ টি ধ্বংস হয়। তখন প্রায় শেষ রাত। কোনরকম গোলাগুলি ছাড়াই অপারেশন সফল করা যায়।


তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস

Leave a Reply

Scroll to Top