মহান মুক্তিযুদ্ধে শেরপুরের সবচেয়ে বড় হত্যাকন্ড সংঘটিত হয় ১৯৭১ সনের ২৫ জুলাই, ১০ শ্রাবণ, রবিবার ভোরবেলা সোহাগপুরে। নিরীহ মানুষ আশ্রয়ের জন্য ভোগাই নদী পার হচ্ছে কেউবা সাঁতরে আবার কেউ বা গলাপানিতে হেঁটে হেঁটে, কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছন দিক থেকে শত্রু বাহিনী ব্রাশফায়ার করে আশ্রয়কামী মানুষদের হত্যা করে। ঐ দিন প্রায় ২০০ জনের মতো ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের কিছু দিন পর মোফাজ্জল স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে শহীদদের একটি তালিকা করা হয় কিন্তু তালিকা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ অধিকাংশ মানুষ ছিল বহিরাগত, তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সোহাগপুর আসে ভারত যাওয়ার জন্য। তাই তাদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ তালিকায় শুধু স্থানীয় ব্যক্তিদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। যে নাম গুলো ঐ তালিকায় উঠেছে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ-
১. নূর মোহাম্মদ
২. শের মাহমুদ
৩. কিতাব আলী
৪. মো. ইব্রাহীম
৫. মুসলেম
৬. রেজত আলী
৭. শহর আলী
৮. নেওয়াজ আলী
৯. নবাব আলী
১০. কাশেম আলী
১১. হযরত আলী
১২. ইমাম আলী
১৩. সিরাজ আলী
১৪. ময়েন উদ্দিন
১৫. ছফির উদ্দিন
১৬. মোহাম্মদ আলী
১৭. আব্দুল মান্নাফ
১৮. মমিন মিয়া
১৯. কডু উদ্দিন
২০. ইমাম আলী মুন্সি
২১. মোন্তাজ আলী
২২. শহিদ মিয়া
২৩. আবুল বাশার
২৪. সফর উদ্দিন
২৫. আব্দুর রহমান
২৬. হুরমুজ আলী
২৭. নীলু
২৮. কছিম উদ্দিন
২৯ ফরজ আলী
৩০. আ. খালেক
৩১. আ. বারেক
৩২. রহম আলী
৩৩. ছাতু মিয়া
৩৪. জসিম উদ্দিন
৩৫. রহিম উদ্দিন
৩৬. সিরাজ আলী
৩৭. সাহেব আলী
৩৮. ইব্রাহীম খলিল
৩৯. খেজর আলী
৪০. আইয়ুব আলী
৪১. মালেক ফকির
৪২. হযরত আলী
৪৩. সমশের আলী
৪৪. আবুল হোসেন
৪৫. তনা শেখ
৪৬. ফজল তালুকদার
৪৭. হাতেম আলী
৪৮. নেকবর আলী
৪৯. বাবর আলী
৫০. হোসেন আলী
৫১. হাছেন আলী
৫২. আ. লতিফ
৫৩. শামছুল হক
৫৪. রহমত আলী
৫৫. আলিম উদ্দিন
৫৬. নজরুল
৫৭. জহর আলী
৫৮. আনছার আলী
৫৯. জহুর উদ্দিন
৬০. একাব্বর আলী
৬১. জাহের আলী
৬২. ইছব আলী
৬৩. উমরদি
৬৪. আলী হোসেন
৬৫. হাজেব উদ্দিন
৬৬. জমির উদ্দিন
৬৭. আ. কুদ্দুস
৬৮. মেহের আলী
৬৯. হারিম উদ্দিন
৭০. সুবর্ধন সাধু
৭১. কাইনচা দেওয়ান
৭২. মেরিস প্রাবিল
৭৩. মানিক মিয়া
৭৪. শহর আলী
৭৫. ছফর উদ্দিন
৭৬. আশরাফ আলী
৭৭. মফিজ উদ্দিন
৭৮. চট পাতাং।
সোহাগপুর গণহত্যা, সোহাগপুর বিধবাপল্লী।
তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।