এক এক করে পুরো এরিয়া মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ২০-২১ নভেম্বর ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী আক্রমণ চালায় নালিতাবাড়ি থানার হেডকোয়ার্টারে এবং দখল করে নেয়। হেডকোয়ার্টারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিলো না তবে তাদের দোসরদের অবস্থান ছিল জাঁকজমকভাবে। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের কাছে তারা পাল্টা আক্রমণ করেও টিকতে পারেনি। পাল্টা জবাবের ফলে কিছু সংখ্যক পুলিশ, রাজাকার এবং আলবদর নিহত হয়। আর যারা জীবিত ছিলেন তারা মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। মুক্তিবাহিনী এ আক্রমণের পর প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে এবং পুরো নালিতাবাড়ি দখল করে নেয়। এ বিজয়ের পর একমাত্র হালুয়াঘাট ছাড়া শেরপুর থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত সমগ্র অঞ্চল মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এভাবে আস্তে আস্তে বিজয় আসতে থাকে।
তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।