১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের আনাচকানাচে প্রবেশ করে ফেললো তাদের পা চা’টা গোলামদের সাহায্যে, ঠিক তখন শেরপুরও বাদ যায়নি। শেরপুর থেকে নালিতাবাড়ি রাস্তায় বেশ কয়েকটি সেতু ছিলো, হানাদার বাহিনী যেন শেরপুরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হকের নেতৃত্বে একটি কোম্পানি গঠন করা হয় এবং নালিতাবাড়ি ও শেরপুরের মধ্যবর্তী সড়কে দুটি সেতু ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়টি ছিলো ৪-৫ জুলাই ১৯৭১ সাল। নজমুল হকের নেতৃত্বে সফলভাবে ঐ সেতু দুটি ধ্বংস করে যখন বিশ্রাম গ্রহণ গ্রহণের জন্য পাশ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নেয়, তখন গ্রাম ঘিরে ফেলে এবং তীব্রভাবে আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনারা। ঐ দিন মুক্তি বাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। তীব্র সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি নিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ সংঘর্ষে কমান্ডার নাজমুল হক সহ আরও বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অবশিষ্টরা কোনমতে নিরাপদ স্থানে সরে যান।
তথ্য সূত্র:- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।