Robin Bhai
অফিসে আজকে ঢিমে তালে কাজ চলছে। আরেকটা রিভিউ লিখতে বসে গেলাম এই ফাঁকে। এই রিভিউ আমাদের শেরপুরের মণ্ডার। বেশ কিছুদিন আগে দেখি চোখের সামনে শুধু মণ্ডার ছবি ঘোরাফেরা করে।
আব্বা এককালে মিস্টি অনেক পছন্দ করতো। আর আম্মা ডায়বেটিসের জন্য মিস্টি এড়িয়ে চলেন।
হঠাৎ করে মনে হলো, আব্বা তো আজকাল বিকালে দুই আঙ্কেলের সাথে ছাদে গল্প করতে উঠে। প্রতিদিন চা নাস্তা হয় সেই আড্ডাতে। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের Md Daloare Hossain ভাইকে বললাম বাসাতে আড়াই কেজি শেরপুরের মন্ডা পাঠাতে। দুই কেজি দুই আঙ্কেলের বাসার জন্য আর আধা কেজি আব্বার জন্য। আঙ্কেলরা অনেক খুশি মন্ডা পেয়ে। তাদের কথা না বলি, বলি আব্বার কথা।
এই মন্ডা দেখে আব্বার মুক্তাগাছার মন্ডার কথা মনে পরে গেল। আব্বার ভাষায় “কতদিন পর মন্ডা দেখলাম।” ঊনিশো সত্তর দশকের সময় এক টাকা দিয়ে একটা মুক্তাগাছার খেলে আর দুপুরে ভাত খাওয়া লাগতো না। সাইজও ছিল ইয়া বড় বড়। দেখি তোমার শেরপুরের মন্ডা খেয়ে।
তারপরের খবর, আব্বা প্রতিদিন সকালে আর বিকালে নাস্তার সময় একটা করে মন্ডা খেয়ে খেলেন শেষ না হয়ে পর্যন্ত।
Nice