Ummay Shahera Anika
বাবা-মায়ের বড় মেয়ে এবং পুরো পরিবারের বড় হিসেবে ছোটবেলা থেকেই বেশ আদুরে আর ইমোশনাল। এখনও এমন অনেক খাবার আছে যা দেখলেই দাদী-দাদার কথাই মনে পরে। কারন উনাদের সাথে জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে।
কয়েকদিন আগে Md Daloare Hossain ভাই কাকলী আপুর বাসায় গুড়ের সন্দেশ আনেন৷ সেখান থেকে একপিস মুখে দিয়েই বলি ভাই আমাকে এককেজি পাঠায়ে দিয়েন। কারন আমি গত ১৩ বছর এই সন্দেশ খাইনি৷
আমার দাদা খুব পছন্দ করতেন গুড়ের সন্দেশ। দাদা মারা যাওয়ার পর আমাদের বাসায় এই গুড়ের সন্দেশ আনা হয় না। আমাদের বছরে ৩-৪ বার তার অধিক ফরিদপুরে গ্রামের বাড়ি যাওয়া হতো। তখন দাদার জন্য আব্বা ঢাকার একটি দোকান থেকে এই রকম গুড়ের সন্দেশ নিয়ে যেতেন। এই জিনিস দাদা আমাকে একটার বেশী দিতেন না। কিন্তু উনি বাজারে গেলে আমি চুরি করে খেয়ে নিতাম ধরাও পরতাম। যাই হোক সেদিন দেলোয়ার ভাইয়ের আনা সন্দেশ মুখে দিতেই আমি সেই স্বাদ পাই।
দেলোয়ার ভাইকে জিজ্ঞেস করি সারা বছর এটা পাওয়া যায় কিনা। অনেক বছর পর মনে হলো সেই পুরো দিনে ফিরে গিয়েছিলাম। কারন কাকলী আপুর বাসায় অন্য কারো জন্য যখন প্লেটে দিচ্ছিলো আমি একটু-আধটু খেয়ে নিচ্ছিলাম। গতকাল বাসায় আনার পর বাসার অন্যান্য সদস্যরা মনে হয় অপেক্ষা করছিলো এর জন্য। প্যাকেট খুলেই তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছে।
ই-কমার্সের মাধ্যমে ঢাকায় বসে এই শেরপুরের গুড়ের সন্দেশ খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এভাবেই দিন দিন আমরা আমাদের দেশীয় পণ্যগুলো ছড়িয়ে দিতে পারবো। ই-কমার্সের জন্য দীর্ঘ বছর কষ্ট করেছেন স্যার। এভাবেই স্যারের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।
অবশ্যই ধন্যবাদ দেলোয়ার ভাইকে। ভাই গতকাল একটা ছবি তোলার যে প্রয়োজন ছিলো অনুভব করছি।
Table of Contents
পোস্ট: ফেসবুক।
Good content
ধন্যবাদ
শেরপুরের গুড়ের সন্দেশ খুবই টেস্টি।
আমিও বহুবার খেয়েছি🥰