Arifa Khatun : রাত বিরাতে সন্দেশ খেতে মন চায়
কাকলী আপুর বাসায় গিয়েছিলাম গতমাসের ৬ তারিখে। তখনি ১ম সন্দেশ এর টেস্ট পাই। কারণ Md Daloare Hossain ভাই এক প্যাকেট সন্দেশ নিয়ে আসে। আমি ১ম পিস খাওয়ার পর ২য় আরেক পিস আবদার করি, মিষ্টি প্রেমী যাকে বলে আরকি।
এরপর তখনি এক কেজি অর্ডার করি। কিন্তু ময়মনসিংহে ডেলিভারি দেওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। তাই ভাইয়াকে বললাম শাশুড়ী মা ঢাকায় আছে যেদিন আসবে এর ২ দিন আগে জানালে তারপর পাঠাবেন। কিন্তু মা ময়মনসিংহে আসার আগে একদম ভুলে গিয়ে আগের দিন জানাই। আর এই জন্য ডেলিভারিও সম্ভব হয়নি। তখন ভাইয়া বললাম আপনি ময়মনসিংহেই পাঠিয়ে দেন। আগের দিন রাতে পাঠালে এসএ পরিবহনে সকালেই পেয়ে যাবো।

এতো ভালো মিষ্টি যেভাবেই হোক বাসার সবাইকে নিয়ে খেতে হবে। কিন্তু ভাইয়া আমাকে অবাক করে দিয়ে মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে ময়মনসিংহে সন্দেশ পাঠিয়ে দিলেন। আমি প্যাকেট খোলার সাথে সাথে বলে ওঠি আরে এক কেজিতে এতো সন্দেশ কেন আর সবার ১ম মিষ্টিটা শাশুড়ী মাকে টেস্ট করতে বললাম। মা তো একবার মুখে দিয়েই এর প্রসংশা করতে লাগলো। সত্যি কথা হলো মা সব ধরনের মিষ্টির গুনগান তেমন গায় না। কিন্তু এই সন্দেশ এর এতো প্রশংসা করলেন বিশেষ করে এর টাকটা একটা ঘ্রাণ রয়েছে সেটাই বার বার বললেন।
আর এর পরের দিন থেকেই শুরু হলো আফাফের বলা- এর নাম চক্কেট। একটা সন্দেশের টুকরা হাতে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে খেয়ে বলতে হয় চক্কেট খাই। আর প্রতিদিন বলা শুরু হয় মাম্মাম চক্কেট। পোস্ট লেখার সময় ছবিতে দেখে ফেলেছে আমার মেয়ে, সাথে সাথেই বলে মাম্মাম দেকো চক্কেট।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো ভালো সন্দেশ এর টেস্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি এমন পণ্যের বার বার ক্রেতা হতে চাই।


Table of Contents
পোস্ট সূত্র : ফেসবুক।
আপনাকে পৌঁছাতে পেরে আমি আনন্দিত।