মোঃ রফিকুল ইসলাম
সম্মানিত ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, সেনা শিক্ষা কোর, ০৩ আগস্ট ১৯৫৬ সালে শেরপুর জেলার অন্তর্গত চর জঙ্গলদী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চর জঙ্গলদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে সাপমারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এস এস সি পাস করেন। অতঃপর ১৯৭৭ সালে শেরপুর কলেজ থেকে বিএ পাস করে ফটিয়ামারী নজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগাদান করেন। তিনি ১৯৮২ সালে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ময়মনসিংহ হতে বেচেলার অব এডুকেশন (বিএড) ডিগ্রীতে প্রথম শ্রেণী প্রাপ্ত হন। পরে তিনি ১৯৯৫ সালে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীন ঢাকা কলেজে বাংলা বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
অতঃপর তিনি ১৯৮৩ সালে সেনা শিক্ষা কোরে জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগদান করে দীর্ঘ ৩৫ বছর চাকুরী করে ২০১৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। দীর্ঘ চাকুরী জীবনে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, এএসসি সেন্টার এন্ড স্কুল এবং আর্মি স্কুল অব এডুকেশন সহ প্রায় সকল প্রধান সেনানিবাসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসঙ্ঘ মিশনে আমেরিকার ” হায়তি” ও আফ্রিকার “মালি“তে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি এলাকার বহু গরীব ছাত্রদের সৈনিক পদে ভর্তির সহায়তা করেছেন।
ছাত্রজীবনে তিনি ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও তাদের গোপন সংবাদ সংগ্রহ করতেন। ১৯৭৫ এর বিয়োগান্ত ঘটনার পর শেরপুর কলেজে হত্যার প্রতিবাদে তিনি মিছিল করেন। ১৮৭৯ সালে ও ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী যথাক্রমে জেনারেল ওসমানী ও ডঃ কামাল হোসেনের পক্ষে মরহুম মহসীন মাস্টার, অ্যাডভোকেট আঃসামাদ, আঃ রশিদ, আমজাদ মাস্টার, জিয়াউল হক মাস্টার ও অনেকের সাথে চর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুটি পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর বড় ছেলে ডাক্তার মোঃ তানজিমুল ইসলাম সৈকত ও ছোট ছেলে ডাঃ মোঃ তামজিদুল ইসলাম সজয় সরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ঢাকায় চাকুরী করছেন। তাঁর দুই পুত্রবধুও সরকারী কলেজ থেকে এমবিবিএস।
বর্তমানে তিনি শেরপুর শহরের দূর্গা নারায়ণ পুর মহল্লায় নিজস্ব বাসায় বসবাস করছেন এবং নানা জনকল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত আছেন। এছাড়াও তিনি নিয়মিত আওয়ার শেরপুর ওয়েবসাইটে মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে লেখালেখি করেন।