জরিপশাহ মাজার
শেরপুর গড়জরিপায় যে মাজারটিতে এখনো মানুষ তাদের বাসনা-কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে, সেটি জরিপশাহ মাজার। এক সময় জরিপ শাহ এখানকার শাসক ছিলেন। আর তখন দিল্লির শাসক ছিলেন তার মামা। বহুদিন নিজেদের মধ্যে দেখা হয় না বলে, দিল্লির বাদশা (মামা) একদিন দূত পাঠান জরিপ শাহ কে খবর দেওয়ার জন্য দিল্লি যাওয়ার।
জরিপ শাহ একটি পাতিল ওই দূতের হাতে তোলে দেন মামার কাছে দেওয়ার জন্য এবং শর্তদেন তা খুল যাবে বা পথিমধ্যে। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করে দূত পথিমধ্যে পাতিল খুলে ফেলে এবং দেখতে পায় পাতিলের ভিতর জরিপ শাহ’র মাথা। সঙ্গে সঙ্গে এটি বন্ধ করে নিয়ে যায় দিল্লির বাদশার কাছে। বাদশা দেখে বলে, এ কি করছো তুমি? এ যে জরিপের মৃত মস্তক? তখন মামা তার মস্তক দাফন করে দিল্লিতে আর দেহটি দাফন করা হয় গরজরিপায় (বর্তমান মাজারের জায়গাটিতে) জরিপ শাহ এখনো এই অঞ্চলে লোকমুখে প্রচলিত। জরিপশাহ মাজারের কথা লোকমুখে প্রচলিত তা হলো “তাহার মাজার একবার মাপলে দ্বিতীয় বার ঐ মাপের সাথে মিলে না”
মাজারের পাশেই রয়েছে ৩টি পাথর। দুটি পাথর আকারে ছোট এবং অপর পাথরটি বড়। ছোট দুটি পাথর পাশাপাশি আগে থেকেই আছে। বড় পাথরটিকে এলাকাবাসী প্রথমত দেখেন বাঁশঝাড়ের নিচে, পরবর্তী এ পাথরটিকে তারা মাজারের পাশে দেখতে পান, তাদের ধারণা পাথর বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে উড়ে এসে এখানে স্থায়ী। বড় পাথরের নামের একটি দান বাক্স আছে। সাধারণ মানুষ তাদের বাসনা পূরণের জন্য পাথরের পানি পান করেন।