চেল্লাখালি নদীর খুটিনাটি সকল তথ্য…
চেল্লাখালি, চিল্লাখালি বা চিতল খালি নদী যা বর্তমানে চেল্লাখালি নদী নামেই সর্বাধিক পরিচিত। প্রাচীনকালে চেল্লাখালি নদীটিকে থলঙ্ক নামে ডাকা হত। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে নদীটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থের প্রসারণ, সম্প্রসারণ এবং নামের পরিবর্তন হতে থাকে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার চারটি প্রধান নদীর মধ্যে এটি অন্যতম একটি নদী। চেল্লাখালি বাংলাদেশ ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা থেকে উৎপত্তি হয়ে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীটি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারি বাজারের পাশ দিয়ে, নন্নী, বাগবেড় ইউনিয়ন হয়ে, নালিতাবাড়ি শহরের দক্ষিণে ভোগাই নদীতে মিলেছে। চেল্লাখালি নদীটিতে সারাবছরই কম বেশি জলপ্রবাহ থাকে।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ৫২ মিটার এবং গভীরতা ৬ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ১১৮ বর্গকিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায় যা ৮.৪ মিটার হয়। ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত পানি প্রবাহ কম থাকে, যার আনুমানিক পরিমাণ ৬ ঘনসেন্টিমিটার/সেকেন্ড। সাধারণত, বর্ষার সময় অতিরিক্ত বর্ষণে বন্যায় সৃষ্টি হয়। চেল্লাখালি নদীতেও বোরো মৌসুমে সেচের প্রয়োজনে রাবার ড্যাম তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কতৃক এই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদী নং ২৮।
তথ্য সংগ্রহঃ সাগর আহমেদ।