Our Sherpur

শেরপুর জমিদারি যেভাবে ভাগ হয়

পদ্মবতীর স্বামী রামভল্লভ শেরপুর পরগনার রাজস্ব আদায় করতেন। কোন কারণে শের আলী গাজির বিরাগভাজন হন এবং গাজির হাতে নিহিত হন। পদ্মবতী মুর্শিদাবাদের নবাবের কাছে স্বামী হত্যার অভিযোগ করেন শের আলী গাজির নামে, নবাব পূর্ব আক্রোশ মূলে এবং পদ্মবতীর অভিযোগ পেয়ে গাজির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন।

নয়আনী জমিদার বাড়ি

নরহত্যার অপরাধে গাজির বাজেয়াপ্ত জমিদারী রামনাথকে দিয়ে দেয়। রামনাথ নবাব কর্তৃক চৌধুরী খেতাব লাভ করে, শেরপুর পরগনার প্রথম হিন্দু জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে শেরপুরের জমিদারী মুসলমানের হাত ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে রামনাথের হয় তিন পুত্র। রামনাথ মৃত্যুর পর তার জমিদারীর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অনেক গোলমাল হয় এমনকি মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত হয়। পনের বছর গোলমালের পর জমিদারী আড়াই আনী, তিন আনী, পনে তিন আনী, নয় আনী হিস্যায় ভাগ হয়। এতে অনেক টাকা পয়সা খরচ হয় এবং অনেকে হ্যাস্তন্যাস্ত হয়।

বালুচর

সূত্র- শেরপুর জেলার ইতিবৃত্ত

Leave a Reply

Scroll to Top