Our Sherpur

ঝগড়ারচরের নামকরণ ও ইতিহাস

ঝগড়ারচরের নামকরণ ও ইতিহাস

ঝগড়ার চর । নামটা শুনে মনে হয় এই এলাকার লোকজন খুব ঝগড়াটে। মনে হয় এই এলাকার লোকজন সারাদিন ঝগড়া চর্চা করেন। আসলে কি তাই? এরকম প্রশ্ন করেছিলেন এক ওয়াজ মাহফিলের একজন বক্তা। একটু হেসে আবার তিনিই জওয়াবে বলেছিলেন আমি বহুদিন থেকে এই এলাকা সম্পর্কে জানি এই এলাকাটা এমন নয়। এই এলাকার শান্তি আর স্বস্থির পরশ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কারন এই বাজারটি যেমন ঐতিহাসিক তেমনি একটি গুরুত্বপুর্ণ জায়গা।

Products list of Our Sherpur
শেরপুর জেলার যেসব পণ্য আওয়ার শেরপুর এ পাওয়া যায়।

এতক্ষণ হুজুরের বয়ানের আলোকে এই ঝগড়ারচরের কথা শুনছিলাম। আসলেই জায়গাটি ঐতিহাসিক। কামাল্পুর হয়ে মিত্রবাহিনীর দল এই বাজার হয়ে এদেশের অভ্যন্তরে এসেছিলেন চুড়ান্ত বিজয়ের জন্য। এই এলাকাটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে স্বাধীন হয়েছিল।

যাহোক এমন নামকরন হলো কেন এই তথ্য জানার জন্য কবি, গল্পকার ও ঔপণ্যাসিক আশরাফ আলী চারু দীর্ঘদিন কাজ করে জানিয়েছেন যে- ১৮৫০ সাল বা তার একটু আগে বা পরে এই বাজারটি এখানে ছিলনা। এর অবস্থান ছিলো বাউশমারী গ্রাম সংলগ্ন বর্তমান জামালপুরের ইসলামপুর থানাধীন। যোগাযোগ ব্যাবস্থা খারাপ থাকার কারনে বর্তমান শেরপুরের শ্রীবরদী থানাধীন অত্র অঞ্চলে স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে ঐ অঞ্চলের লোকজনের সাথে ঝগড়া হয়।

ঝগড়ারচরে সরিষার আবাদ

পরে বাজারটি কালক্রমে স্থানান্তরো হয় এর ফলেই এর নামকরন হয় ঝগড়ারচর। বাজারের পশ্চিম সীমানা হতেই ইসলামপুরের সীমানা শুরু। যার ফলে বাজারের একটি রোডের নাম ইসলামপুর রোড। এর উত্তরে দুই কি. মি. এর পরেই বকশীগঞ্জ। দক্ষিণে শেরপুর সদর ও জামালপুর। বাজারটি খুবই জন গুরুত্বপুর্ণ এবং শেরপুর-জামালপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার।

আশরাফ আলী চারু
লেখক: আশরাফ আলী চারু

Leave a Reply

Scroll to Top